"আমার স্বপ্নে তুমি"
( এটা সাধারণত একটি প্রেমের গল্প এবং এই গল্পে বন্ধুত্ব ও পারিবারিক সুসম্পর্কের উল্লেখ করা আছে। এই গল্প পুরোপুরি কাল্পনিক, এই গল্পের সাথে কারো জীবনী মিলে গেলে লেখক দায়ী না।)
কলকাতার ময়দান মেট্রো স্টেশন রাস্তা ধরে বছর 24 থেকে 25 এর এক ছেলে দুপুরের দিকে হেঁটে যাচ্ছিল। চুলগুলো একটু বড় উসকো খুসকো, একটা সিগারেট হাতে, পিঠে একটা ব্যাগ, নীল রঙের জিন্স প্যান্ট, কালো রঙের একটা গেঞ্জির উপরে সব কটা বোতাম খোলা একটা নীল সাদা চেক ডিজাইনের জামা পড়ে ছিল।
ছেলেটিকে দেখে মনে হচ্ছিল কোন এক গভীর চিন্তায় সে ওই ময়দানের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। কোন এক বন্ধুর বাড়ি। হঠাৎ করে সে রাস্তায় একটা কাগজের টুকরো দেখতে পেল এবং কি মনে হল সে কাগজের টুকরোটা তুলে দেখলো কাগজের বিপরীত দিকে একটা মেয়ের পাসপোর্ট ছবি। সেই ছবি দেখেই যখন আবার ছবিটি উল্টেপাল্টা দেখল, তখন দেখতে পেল ছবিটির উল্টোদিকে ছোট্ট করে একটা Signature/সই করা আছে। সেই সইটা আবছা হয়ে গেছে রাস্তার ধুলোবালি লেগে তাই ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু এটা বোঝা যাচ্ছিল যে কোন এক কলেজ ছাত্রীর ছবিটা কোনরকম ভাবে রাস্তায় পড়ে গেছে।
ছেলেটি একটু ছবিটি উল্টে পাল্টে দেখছিল সঙ্গে সঙ্গেই তার বন্ধুর "শুভম,, ফোন এলো এবং ফোনটা রিসিভ করেই পকেট থেকে তার মানিব্যাগটা বের করে এবং সেই মানিব্যাগের ছবিটি রেখে দিল।তার বন্ধু শুভম ফোন করে জিজ্ঞেস করছে।
কিরে কোথায় আছিস?
সে বলল রাস্তায় আছি ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি।
বন্ধু শুভম বলল,, একটা সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে আসিস তো।
ছেলেটি বললো,, এক প্যাকেট সিগারেট কেনার মত টাকা নেই। যে টাকা আছে আমার বাড়ি যাওয়ার সময় গাড়ি ভাড়া আর রাতে খাওয়া দাওয়ার জন্য লাগবে। মা বাবা আজকে রাতে বাড়ি থাকবে না।
শুভম' বলল ok.. আমাদের বাড়ির সামনে যে দোকানটা আছে ওই দোকানদারকে আমার কথা বলে একটা সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে আসবি । বা ফোনটা দোকানদারের কাছে দিবি আমি বলে দেবো একটা সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে দিতে আমি টাকা অনলাইন দিয়ে দেবো দোকানে।
(শুভমের বাবা একজন বিজনেসম্যান, তাদের আর্থিক অবস্থা যেমন ভালো, তার মা তেমনি খুব সরল মনের মানুষ।)
আর ছেলেটি তার বন্ধুর সেই কথা মত দোকানদারের কাছে ফোনটা ধরিয়ে শুভমের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিল এবং এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে সে তার বন্ধু শুভম দের বাড়ি চলে আসলো।
এসেই শুভমের মায়ের সঙ্গে দেখা হলো তার, শুভমের মাকে জিজ্ঞেস করলো "কাকিমা শুভম কোথায়? শুভমের মা বলল " অনেকদিন পরে আসলি বাবা কেমন আছিস? বাড়ির সবাই কেমন আছে?
সে বললো" আমিও ভালো আছি আর মা বাবা সবাই ভালোআছে (এই বলে প্রণাম করলো) এবং জিজ্ঞেস করল আপনি কেমন আছেন? শুভমের মা বলল "আছি মোটামুটি,, এতদিন আসিস নি কেন তোর কথা কত বললাম শুভম এর কাছে।
সে বললো" নতুন এক বিজনেস প্রজেক্ট শুরু করছি তাই একটু ব্যস্ত ছিলাম।
আবার শুভমের মা জিজ্ঞেস করল" দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে এসেছিস? দিদিরা বাড়িতে নেই নাকি?
সে বললো" হ্যাঁ কাকিমা, খাওয়া দাওয়া করে এসেছি, মা-বাবা এখন তো বাড়িতেই আছে, আজকে সন্ধ্যের দিকে মামার বাড়িতে যাবে।
শুভমের মা বলল" আচ্ছা বাবা,,
(শুভমের মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই শুভম তার ঘরের ভেতর থেকে ডাক দিল "রাহুহুহুহুল ওই রাহুল।)
শুভমের মা বলল" ঠিক আছে বাবা, ওর ঘরে গিয়ে বস.
(আর শুভমের পার্সোনাল রুমে চলে গেল রাহুল। এবং রাহুল দেখলো শুভম কম্পিউটারের সামনে বসে কিছু একটা কাজ করছে।)
শুভম" ভাই তাড়াতাড়ি সিগারেটের প্যাকেট টা দে?
তোর দুটোর সময় আসার কথা এতো লেট করলি কেন?
রাহুল" আজকে পুরোটা রাস্তা হেঁটে আসলাম তাই দেরি হয়ে গেল।
শুভম" হেটে আসলি কেন? (এই বলে সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে মুখে নিল শুভম) আর বলল আমাকে একবার ফোন করে বলতে পারতি আমি গাড়িটা নিয়ে যেতাম।
রাহুল বলল ও ঠিক আছে এইতো "ধর্মতলা থেকে মিন্টো পার্ক,, তাই হেঁটেই চলে এলাম। (এই বলে রাহুল সিগারেটের প্যাকেট থেকে সিগারেট বের করে মুখে নিল।) আর বলল "ওই ময়দানে গিয়েছিলাম মিঠুদার বইয়ের দোকানে, তাই আরো লেট হয়ে গেল।
শুভম বললো" আজকে আমাদের বাড়িতে থেকে যা, সেই পার্টি হবে (মদ খাওয়া হবে)। বাড়িতে কেউ নেই বললি।
রাহুল বলল" নারে ভাই পার্টি পরে হবে। আমার ল্যাপটপটা ফরম্যাট করতে দিয়েছি OS টা ইনস্টল হচ্ছে কোনমতেই আজকে বাড়ির বাইরে থাকা যাবে না আমাকে সারারাত ধরে সফটওয়্যার গুলো ইন্সটল করতে হবে।
শুভম কিছুটা নিরাশ হয়েই বলল" Okey,, আমি আজকে তোকে গাড়িতে করে ছেড়ে দেবো বাড়িতে। আজ রাতের খাওয়া দাওয়া আমাদের বাড়িতে করেই যাবি আমি মাকে বলে রেখেছি তোর মা বাবা নেই বাড়িতে তাই তুই আজকে আমাদের বাড়িতে ডিনার করবি।
(রাহুলকে শুভমদের বাড়ির ফ্যামিলি খুব ভালোবাসে, রাহুল নিজেও একজন বিশ্বস্ত মানুষ)
রাহুল শুভম এর কথা শুনে শুভমের চোখে চোখ রেখে একটু হাসি দিল। আর সেই হাসিটাই বুঝিয়ে দিল রাহুলদের সঙ্গে শুভমের বাড়ির সম্পর্কটা কত সুন্দর।
(রাতের খাওয়া দাওয়া করতে অনেক রকম সুখ-দুঃখের কথা হয় রাহুল, শুভমের মা আর শুভম একসাথে মিলে)।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে, শুভম রাহুলকে তার গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
বাড়ি ফিরে এসেই দেখে গেটে তালা দেওয়া, তালা খুলে ঘরে ঢুকেই সে তার খাটে রাখা ল্যাপটপটা নেড়েচেড়ে দেখল ল্যাপটপটা চালু হয়েছে নাকি এবং দেখেই প্যান্ট থেকে মানিব্যাগটা বের করে টেবিলের উপর ছুঁড়ে রাতেই" যে মেয়েটির পাসপোর্ট ছবি রাস্তায় পেয়েছিল, সেই ছবিটি মানিব্যাগ থেকে হালকা বেরিয়ে পড়লো, আর মেয়েটির মুখটা শুধু দেখা যাচ্ছিল।
রাহুল ভুলেই গেছিল মেয়েটার ছবির কথা। তখন সে মনে মনে ভাবল আমার মানিব্যাগে মেয়ের ছবি এলো কোথা থেকে? তারপর মনে পড়ল সেই রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ছবিটা। সেই ছবিটা দেখেই হাতে নিল রাহুল। তখনই মেয়েটার ছবি দেখে প্রেমে পড়ে যায় রাহুল। মনে হচ্ছিল যেন এইতো সেই যাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি। দেখে মনে হচ্ছিল যেন অনেক আগে থেকেই তাকে আমি চিনি। এটাই তো সেই মেয়ে যাকে আমি খুঁজছি। যে আমার জীবন সঙ্গী হবে।
কিন্তু সেটা সম্ভব হবে কি করে? একটা পাসপোর্ট ছবি দিয়ে কি সেই মেয়েটাকে খোঁজা সম্ভব? যেহেতু দেখে মনে হচ্ছিল মেয়েটা কলেজ স্টুডেন্ট আর ময়দানের রাস্তা থেকে ছবিটা পাওয়া গেছে তাহলে হয়তো আশেপাশেই কোথাও থাকে হয়তো। সারারাত ওই এইসব কথা ভাবতে ভাবতেই কাটিয়ে দিল রাহুল।
সেই মেয়েটা রাহুলের মনে এতটাই বসে গিয়েছিল যে এক সপ্তাহ ধরে সব কলেজে, যেমন Victoria Institute college, Surendranath College, Ashutosh college, Bangabasi College, City College, যায় মেয়েটাকে খোঁজার জন্য। অনেক চেষ্টা করে কিন্তু সেই মেয়েটার খোঁজ আর পায় না। পাসপোর্ট ছবিটা দেখতো আর কলেজের মেয়েদের মধ্যে সেই মেয়েটাকে খুঁজতো। রাহুল মেয়েটার নেশায় এতটাই ডুবেছিল যে, ওই মেয়েটার মতই যাকেই দেখতে মনেহয় রাহুল তাকে সেই মেয়েটাই ভেবে বসে। যখন সেই মেয়েদের সামনাসামনি যায় তখনই সে দেখে এই মেয়েটা সেই মেয়েটা নয় যে মেয়েটিকে রাহুল খুঁজছে। আবার মেয়েটার ছবিটা যেখানে পেয়েছিল সেখানে গিয়েও রাহুল অনেকক্ষণ সময় কাটায়, এই ভেবে যে যদি সেখানে মেয়েটার দেখা পায়। তবুও রাহুল কিছুতেই মেয়েটার খোঁজ পায়না।
কয়েকদিন এরকম কলেজে ঘুরে ঘুরে নিরাশ হয়ে, মেয়েটিকে পাওয়ার সব আশা ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে একা একা সময় কাটাচ্ছিল।
(সেই সময় রাহুলের মা ঘরে আসে এবং ঘরে ঢুকেই বুঝতে পেরেছিল যে রাহুল কেমন মনমরা হয়ে বসে আছে কিছু একটা হয়েছে!)
রাহুলের মা রাহুল কে বললো" কিরে' কিছুদিন থেকে তোকে দেখতে পাচ্ছি তুই কোথায় রোদে রোদে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছিস? মনমরা হয়ে বাড়িতে বসে আছিস? কেন কি হয়েছে তোর? শুভ দের বাড়িও যাচ্ছিস না? শুভ ও আসছে না কেন!? সেদিন যে ওদের বাড়ি রাতের বেলা খাওয়া দাওয়া করলি! শুভর মাকে একটা গিফট দিতে হয় সেটাও দিসনি। কবে শিখবি 25 বছর হতে চলল! আমি কিছু টাকা দিচ্ছি একটা শাড়ি আর মিষ্টি নিয়ে শুভর মাকে দিবি।
রাহুল বলল" ঠিক আছে টাকা দিতে হবে না। আমি কিনে নিয়ে যাব।
রাহুলের মা বলল" কালকেই যাবি।
(এই বলে রাহুলের মা চলে গেল।)
আবার ঘরে বসে মেয়েটির ছবি উল্টেপাল্টে দেখতে থাকে। এবং দেখে সেই ছবির পিছনে পেনের কালিতে আবছা signature/সই করা। সেটা হঠাৎ করে দেখেই চমকে ওঠে।
পরেরদিন সন্ধ্যাবেলায় রাহুলের বন্ধু, শুভম কে ফোন করে রাহুল।
রাহুল বলল আজকে রাতে ফ্রি আছিস?
শুভম" হ্যাঁ, কেন?
(রাহুল সাথে সাথে একটা মদের বোতল, একটা সিগারেটের প্যাকেট, এক প্যাকেট মিষ্টি আর একটা শাড়ি, কিনে শুভম দের বাড়ি চলে আসলো।)
তাড়াহুড়ো এসেই প্রথমে শুভমের মায়ের সঙ্গে দেখা করে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে এবং বলে আজকে রাতে শুভম এর কাছে থাকবো কিন্তু। ( এই বলে ব্যাগ থেকে মিষ্টির প্যাকেট আর শাড়িটা বেরকরে শুভমের মায়ের হাতে দিল।)
শুভমের মা খুব খুশি হয়ে বলল" বাবা তুই কত বড় হয়ে গেছিস, খুব সুন্দর হয়েছে শাড়ির রংটা। (শুভমের মা একটু রেগে বলল) রোদে ঘুরে ঘুরে যে গায়ের রংটা কালো হয়েগেছে সেইটা কি দেখেছিস? খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করছিস না নাকি চোখ-মুখ ভেঙ্গে গেছে?
রাহুল বললো" ও কিছুনা! বলে আবার জিজ্ঞেস করল শাড়িটা পছন্দ হয়েছে? আমি পছন্দ করে নিয়ে এসেছি!
শুভমের মা রাহুলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল খুব সুন্দর হয়েছে বাবা "থ্যাঙ্ক ইউ,,।
(আজকে রাতে এখানেই খাবো কিন্তু বলে রাহুল চলে গেল শুভমের ঘরে।)
তারপর সারারাত "রাহুল আর শুভম" মদ খেতে খেতে শুভম কে সেই মেয়েটার পাসপোর্ট ছবি দেখিয়ে রাহুল সব কথা খুলে বলল, যে আমি এই মেয়েটাকে ভালোবেসে ফেলেছি। মেয়েটাকে অনেক খুঁজেছি কিন্তু কোন রকম ভাবে খুঁজে পাচ্ছি না।
শুভম জিজ্ঞাসা করল মেয়েটার নাম কি?
রাহুল ছবিটা উল্টে signature দেখিয়ে বললো "তিয়াসা বা তিশা দাস,, এরকম দামি কিছু একটা হবে। কিন্তু লেখাটা আবছা হওয়ার কারণে ঠিকমতো বুঝতে পারছি না।
শুভম কিছুটা মাথা খাটিয়ে রাহুল কে বলল, তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলে Tiyasha Das নাম লিখে সার্চ করতে। রাহুল সঙ্গে সঙ্গে instagram একাউন্ট খুলে "তিয়াসা দাস,, লিখে সার্চ করে। কিন্তু অনেক অ্যাকাউন্ট খুঁজে সেই মেয়েটার খোঁজ আর পায়না। পরে আবার Tisha Das "তিশা দাস,, নাম লিখে সার্চ করে, ইংলিশ, বাংলা সব সব রকম ভাবে লিখে সার্চ করে রাহুল। facebook, instagram যত রকম সোশ্যাল সাইট গুলো আছে সবগুলোতেই মেয়েটিকে খোঁজার চেষ্টা করে রাহুল। (অনেক "তিশা দাস,, বা তিয়াশা দাসের খোঁজ পেলেও রাহুল যে মেয়েটাকে খুঁজছে সেই মেয়েটার খোঁজ আর পাচ্ছে না।)
এবার রাহুল আর শুভম দুজনে মিলে তার দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সেই মেয়েটিকে সার্চ করতে থাকে।
(এক সময় শুভমের মা দুজনকে রাতে খাবারের জন্য ডাকে,)
শুভম তোর মাকে বলল তুমি খেয়ে নাও আমরা পরে খাবো।
তারপরেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুভম তার কম্পিউটার দিয়ে সার্চ করছে, রাহুল তার মোবাইল এবং তার ল্যাপটপটা দিও ওই মেয়েটিকে সার্চ করছে পাসপোর্ট ছবিটা সব মেয়ের প্রোফাইল পিকচারের সাথে মিলিয়ে দেখছে আর দুই বন্ধু মিলে একটু করে মদ খাচ্ছে। রাত্রে দেড়টার সময় রাহুল আর শুভম তারা দুজনে একসঙ্গে ডিনার করছে এবং মোবাইলে সার্চ করে দেখছে কিন্তু কোন রকম ভাবেই মেয়েটার প্রোফাইল খুঁজে পাচ্ছে না রাহুল।
খাওয়া দাওয়ার পরে আবার দুই বন্ধু মিলে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে সার্চ করতে থাকে "Tisha Das লিখে আবার কখনো Tiyasha Das লিখে।
(তারপরেও কোনো রকম ভাবে সেই মেয়েটিকে খুঁজে পায় না।)
একসময় শুভম রাহুলের এই ভাবমূর্তি দেখে শুভম ফেসবুকে "Tiyasha Das,, সার্চ করে স্ক্রলিং করছে আর রাহুলকে বোঝানোর চেষ্টা করছে এতটা পাগল হওয়া ঠিক না। অনেক প্রোফাইল তো খুজলাম, পেলাম? পেলাম না। আর তুই এই এতদিন ধরে এই কলেজ সেই কলেজ ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছিস! আর তোর চেহারার কি হাল হয়েছে? এগুলো কি সব ঠিক হচ্ছে?
(শুভম নেশার ঘোরে রাহুলকে নিয়ে মাঝে মাঝে মজা করে কথা বলছে আবার বন্ধুর মতো বকাবকি করে বোঝাচ্ছে আর ফেসবুকের "Tiyasha Das,, সার্চ করে স্ক্রল করছে, রাহুল সব আশা ত্যাগ করে নিরাশ হয়ে চুপ করে বসে আছে ও শুভমের কথা মন দিয়ে শুনছে আর শুভমের কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে আছে একদৃষ্টিতে।)
"হঠাৎ করেই রাহুল শুভমের কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো "STOP,, (শুভম তখনি তার মাউস স্কোরলিং করা বন্ধ করেদিল।
একটা মেয়ের প্রোফাইল ছবি দেখে) রাহুল বলল মেয়েটাকে চেনা চেনা লাগছে!
কিন্তু এই মেয়েটার প্রোফাইল নাম তো দেখছি" Quen Tiyasha Dasgupta,,
তারপর সেই "Quen Tiyasha Dasgupta,, প্রোফাইলটি খুলে মেয়েটির ছবিগুলো দেখেই শুভম আর রাহুল দুজনেই একেবারেই কনফার্ম হয়ে যায় এই মেয়েটি সেই মেয়েটি যার আসল নাম "তিয়াশা দাসগুপ্ত,, ফেসবুক প্রোফাইলের নাম "Quen Tiyasha Dasgupta,,।
রাহুল "তিয়াশাকে অনেকদিন ধরে খোজার পর অবশেষে খুঁজে পেল ফেসবুকে।
"রাহুল তো আনন্দে আত্মহারা,, রাহুল তিয়াসার সম্পর্কে জানতে "Quyen Tiyasha Dasgupta প্রোফাইল মোবাইলে দেখতে দেখতে নেশার ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। মেয়েটার প্রোফাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে কখন যে ঘুমে চোখ লেগে গেছে রাহুল বুঝতে পারেনি।
কিন্তু সকাল দশটার সময় নেশার ঘোর থেকে বেরিয়ে ঘুম থেকে উঠেই দেখে।
শুভম তখনো ঘুমোচ্ছে, কম্পিউটার বন্ধ করা। রাহুলের ল্যাপটপটা বন্ধ করা। মোবাইলে তার চার্জ নেই সুইচ অফ হয়ে গেছে।
তারপরে হঠাৎ করে রাহুল বুঝতে পারে সে স্বপ্ন দেখছিল। "তিয়াশা,,কে যে ফেসবুকে খুঁজে পেয়েছে এটা তার স্বপ্ন ছিল।
রাহুল আবার তাড়াহুড়ো করে ল্যাপটপটা অন করে। মোবাইলটা অন করতে যাচ্ছিল কিন্তু মোবাইলটায় চার্জ না থাকায় সেটা অন হচ্ছিল না। রাহুল আবার মোবাইলটা চার্জে বসায় এবং ল্যাপটপে আবার "Quen Tiyasha Dasgupta,, নাম লিখে সার্চ করে। কিন্তু আবার Quen Tiyasha Dasgupta নামে সেই মেয়েটিকে খুঁজে পাচ্ছে না। যে মেয়েটির প্রোফাইল রাহুল স্বপ্ন দেখেছিল। (রাহুল মনে মনে ভাবতে লাগলো আমি তো ওর প্রোফাইল পিকচার এবং ছবিগুলো দেখেছি। তবুও কেন আবার হারিয়ে ফেললাম?)
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই আবার রাহুল সার্চ করে "Tiyasha Dasgupta,, নাম লিখে।
কিন্তু এইবার ঘটল সেই অবিশ্বাস্য ঘটনা, ফেসবুকে "Tiyasha Dasgupta,, নাম লিখে সার্চ করে এবং তখনই সে দেখতে পায় সেই প্রোফাইল টাই যেটা সে ভোরবেলা স্বপ্নে দেখেছিল। কিন্তু ফেসবুক প্রোফাইলের নাম "Quen Tiyasha Dasgupta,, না বরং শুধু "Tiyasha Dasgupta,, নামে আছে।
(রাহুল আবার আনন্দে আত্মহারা, গায়ে চিমটি কেটে দেখছে, আর ভাবছে,, আবার স্বপ্ন দেখছি নাতো? রাহুল শুভমের গায়ে লাফ দিয়ে পড়ে শুভম কে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল সেই আনন্দের ঠেলায়।)
গল্পের পরবর্তী অংশ আসছে....