"ভুতুড়ে রানী"

একসময় এক রাজ্যের এক মহারানী ছিল। তার নাম ছিল রানী সুন্দরী। রানী সুন্দরী খুবই সুন্দরী এবং দয়ালু ছিলেন। তিনি তার রাজ্যের মানুষদের খুব ভালোবাসতেন।

রানী সুন্দরীর একটি বিশাল বাড়ি ছিল। বাড়িটি ছিল রাজ্যের সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি। বাড়িটি ছিল ফুলে ফুলে ভরা। বাড়ির চারপাশে ছিল সুন্দর বাগান। বাড়িতে সবসময় আনন্দময় পরিবেশ থাকত।

একদিন, এক সাধু রানী সুন্দরীর বাড়িতে এসেছিলেন। সাধুটি ছিলেন খুবই জ্ঞানী এবং ধার্মিক। তিনি রানী সুন্দরীকে তার আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন।

সাধুটি রানী সুন্দরীকে অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন। তিনি তাকে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং দয়া সম্পর্কে শিখিয়েছিলেন। রানী সুন্দরী সাধুটির কথা খুব মন দিয়ে শুনতেন। তিনি সাধুটির কথায় অনেক কিছু শিখেছিলেন।

একদিন, রানী সুন্দরী তার বাড়িতে ফিরেছিলেন। তিনি তার রাজ্যের মানুষদের সাহায্য করতে লাগলেন। তিনি তাদের খাবার, জল এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি তাদেরকে শিক্ষা এবং চাকরিও দিয়েছিলেন।

রানী সুন্দরীর সাহায্যে রাজ্যের মানুষরা খুব সুখে বাস করতে লাগল। তারা রানিকে খুব ভালোবাসতে লাগল।

একদিন, রানী সুন্দরী তার বাড়িতে বসে ছিলেন। হঠাৎ, একজন মন্ত্রী তার কাছে এসে বললেন যে এক ভয়ঙ্কর সাধু তার সাথে দেখা করতে চান।

রানী সুন্দরী অবাক হয়ে গেলেন। তিনি জানতেন না যে ভয়ঙ্কর সাধু কারা। তিনি মন্ত্রীকে বললেন যে তিনি সাধুটিকে তার কাছে নিয়ে আসতে।

মিনিট দুয়েক পরে, মন্ত্রী সাধুটিকে রানী সুন্দরীর কাছে নিয়ে এলেন। সাধুটি ছিল খুবই ভয়ঙ্কর। তার চোখ ছিল আগুনের মতো। তার মুখ ছিল ভয়ংকর।

রানী সুন্দরী সাধুটিকে দেখে ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি কে এবং আপনি এখানে কেন এসেছেন?"

সাধুটি বলল, "আমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে অভিশাপ নিয়ে এসেছি। তারা আমাকে অপমান করেছিল। তাই আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি। তোমার সর্বনাশ হবে।"

সাধুটি এই কথা বলেই চলে গেল।

রানী সুন্দরী খুবই দুঃখিত হলেন। তিনি জানতেন না যে কী করবেন। তিনি তার মন্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করলেন।

মন্ত্রীরা বললেন, "রানীমা, আমরা আপনাকে রক্ষা করব। আমরা সেই ভয়ঙ্কর সাধুকে খুঁজে বের করব এবং তাকে শাস্তি দেব।"

রানী সুন্দরী তার মন্ত্রীদের কথা শুনে কিছুটা আশা পেলেন। তিনি তাদেরকে ভয়ঙ্কর সাধুকে খুঁজে বের করতে বললেন। মন্ত্রীরা অনেক চেষ্টা করে কিন্তু তারা ভয়ঙ্কর সাধুকে খুঁজে পেতে পারলেন না। সাধুটি কোথায় লুকিয়ে ছিল, কেউ জানত না। রানী সুন্দরী খুবই দুঃখিত হয়ে পড়লেন। তিনি বুঝতে পারলেন যে তিনি অভিশাপের ফাঁদে পড়েছেন।

কিছুদিন পরে, রানী সুন্দরী মারা গেলেন। তার মৃত্যুর পর, তার রাজ্য ধ্বংস হয়ে গেল। তার বাড়িটি পরিণত হলো একটি ভুতুড়ে বাড়িতে।

রানী সুন্দরীর বাড়িটি আজও রয়েছে। বাড়িটির চারপাশে ঘন জঙ্গল দিয়ে ঘেরা। বাড়িটিতে রাতের বেলা ভূতের এবং কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।