🛫 দুর্ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১২ জুন ২০২৫ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পর বি.জে. মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাসের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় মোট ২৯০ জনের মৃত্যু হয় এবং ভারতের বিমান ইতিহাসে এটি একটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে রূপ নেয়।

Image
 

🔥 বিধ্বংসী পরিণতি

২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জন প্রাণ হারান এবং ১ জন অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও আগুনে পুড়ে ছাত্রাবাসের ৫ জন শিক্ষার্থীও নিহত হন। আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়, এবং এলাকাটি দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়।

🙍 অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি

বিশ্বাস কুমার রমেশ, একজন ব্রিটিশ নাগরিক, ছিলেন ১১-এ নম্বর আসনে। প্লেন বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি বলেন: > "আমি চোখ খুলে দেখি শুধু মৃতদেহ। আমি দৌঁড়ে বেরিয়ে আসি।" তাঁর শরীরে ছিল গভীর জখম, কিন্তু তিনি সিটবেল্ট বাঁধা, পিছনের অংশে অবস্থান, এবং বিপর্যয়ের দিক থেকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ সেকশনে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

🎙️ ব্ল্যাক বক্স ও তদন্তের অগ্রগতি

ব্ল্যাক বক্সে থাকা ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডারককপিট ভয়েস রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে প্লেন উড্ডয়নের পরপরই উচ্চতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়, এবং শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনে সমস্যা ও কন্ট্রোলে বিঘ্ন দেখা দেয়। বিস্তারিত কারণ জানতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বিশ্লেষণ চলমান

🧑‍✈️ কেবিন ক্রু ও এয়ার হোস্টেস

এই ফ্লাইটে ১২ জন কেবিন ক্রু ছিলেন, যার মধ্যে কমপক্ষে ৫ জন এয়ার হোস্টেস। তাদের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন কেরালা, মুম্বাই, দিল্লি ও পাঞ্জাব থেকে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এখনো সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি, তবে নিহতদের পরিবারের সম্মতি পাওয়ার পর তথ্য প্রকাশ করা হবে।

🔍 এই দুর্ঘটনা আমাদের কী শেখায়?

এই দুর্ঘটনা শুধু বিমান নিরাপত্তা নয়, বরং বিপর্যয় প্রস্তুতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ট্রেনিং সিস্টেমের দুর্বল দিকগুলো স্পষ্ট করে তুলেছে। তদন্ত শেষ হলে আশা করা যায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের ট্র্যাজেডি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে।