একটি প্রাচীন রাজ্যের ইতিহাসিক ঘটনার উপর ভিত্তি করে একটি গল্প। গল্পটি দেখায় যে, সম্পদ ও ক্ষমতা স্থায়ী নয়। অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের কারণে, সম্পদ ও ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সম্পদ ও ক্ষমতার ক্ষতি করতে পারে।
কৃষ্ণনগরের হারানগর এলাকায় এক গরীব পরিবার বাস করত। পরিবারে মা, বাবা, এক ছেলে আর এক মেয়ে ছিল। তাদের নাম ছিল সুমন, সুমি, মায়ের নাম ছিল রত্নমালা আর বাবার নাম ছিল রমেশ। তারা বংশ পরম্পরায় একই ভিটেতে বাস করত। তাদের খুবই অভাব অনটনে দিন কাটত। তারা মানুষ হিসাবে খুব ভালো ছিল। কিন্তু তারা এক সময় গরীব ছিল না। তাদের পাঁচ জন্ম আগের পূর্বপুরুষ অনেক বড় লোক ছিল। তাদের হিরে, সোনা দানা, সোনার বিস্কুট, পুরনো দিনের টাকা পয়সা ছিল। সেই পূর্বপুরুষরা সেই সময়কার রাজার খুব কাছের লোক ছিল এবং ভরসার লোক ছিল। এরকম আরো অনেক কিছু ধনসম্পত্তি তারা রাজার কাছ থেকে পেয়েছিল।
একসময় সেই পূর্বপুরুষরা সেই গুপ্তধন তাদের ভিটের মধ্যেই মাটির তলায় রেখে গিয়েছিল। তাদের পরিবারের মধ্যেও কেউ জানতো না।
রাজা সেই সময়ে এই ফ্যামিলিদেরকে এত গুপ্তধন দিয়েছিল বেশ কয়েকটি কারণে। প্রথমত, তিনি এই ফ্যামিলিদেরকে তার রাজ্যের প্রতি অনুগত রাখতে চেয়েছিলেন। এই ফ্যামিলিরা রাজ্যের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সামরিক শক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। দ্বিতীয়ত, তিনি এই ফ্যামিলিদেরকে তার রাজ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। এই ফ্যামিলিরা রাজ্যের বিরুদ্ধে যেকোনো আক্রমণের ক্ষেত্রে রাজাকে সমর্থন করত। তৃতীয়ত, তিনি এই ফ্যামিলিদেরকে তার রাজ্যের উন্নয়নে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন। এই ফ্যামিলিরা রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সামাজিক পরিষেবায় অর্থায়ন করত।
রাজা এই ফ্যামিলিদেরকে এত ধনসম্পত্তি দিয়েছিলেন কারণ:
রাজনীতি: এই ফ্যামিলিরা রাজ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। তারা রাজ্যের উচ্চপর্যায়ের পদে অধিষ্ঠিত ছিল। রাজা এই ফ্যামিলিদেরকে গুপ্তধন দিয়ে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব আরও বাড়িয়ে তুলতে চেয়েছিলেন।
রাজার এই পদক্ষেপটি বেশ কার্যকর ছিল। এই ফ্যামিলিরা রাজ্যের প্রতি অনুগত ছিল এবং রাজ্যের সুরক্ষা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিল।
রাজার মৃত্যুর পর, রাজ্যের শাসনব্যবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এই ফ্যামিলিদের গুপ্তধন রক্ষার জন্য রাজার সমর্থন ছিল। রাজার মৃত্যুর পর, এই ফ্যামিলিদের গুপ্তধন লুটপাটের শিকার হয়।
এই ফ্যামিলিটি হঠাৎ করে গরিব হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল। প্রথমত, রাজার মৃত্যুর পর, এই ফ্যামিলিদের গুপ্তধনের সুরক্ষা হুমকির মুখে পড়ে। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেওয়ায়, এই ফ্যামিলিদের ব্যবসা ও বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তৃতীয়ত, এই ফ্যামিলির নেতারা অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ায়, তাদের সম্পদ নষ্ট হয়ে যায়।
গল্পের বিস্তারিত:
সুমন আর সুমি খুব ভালো ছাত্র ছিল। তারা গ্রামের স্কুলে পড়ত। তাদের বাবা-মা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য খুব পরিশ্রম করত। কিন্তু তারা তাদের ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা করাতে পারছিল না। কারণ তাদের পক্ষে পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব ছিল না।
সুমন আর সুমি জানত যে, তাদের বাবা-মা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে। তাই তারাও তাদের পড়াশোনায় মন দিল। তারা ভালো ফলাফল করতে লাগল।
একদিন সুমন তাদের ভিটে বাড়ির মাটি খুঁড়ছিল। হঠাৎ করে তার হাতের লাঠি একটা শক্ত কিছুতে আঘাত খেল। সুমন লাঠিটা তুলে দেখতেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। সে দেখতে পেল মাটির তলায় একটা বড় তালাবন্ধ বাক্স। সুমন বাক্সটা খুলে দেখল তাতে ভর্তি হিরে, সোনা, দানা, বিস্কুট, আর পুরনো দিনের টাকা পয়সা।
সুমন বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে সবকিছু বলল। তার বাবা-মা প্রথমে ভয় পেয়ে গেল। তারা বুঝতে পারছিল না এটা কিভাবে ঘটল। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারল এটা তাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া গুপ্তধন।
সুমন আর সুমির বাবা-মা এই গুপ্তধন দিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনা করাতে লাগল। তারা তাদের ছেলেমেয়েদের ভালো স্কুলে ভর্তি করল। সুমন আর সুমিও তাদের পড়াশোনায় মন দিল। তারা ভালো ফলাফল করতে লাগল।
সুমন আর সুমি বড় হয়ে ভালো চাকরি পেল। তারা তাদের পরিবারের দারিদ্র্য দূর করে দিল। তারা তাদের এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হল।
সুমন আর সুমি তাদের নতুন জীবনে খুব সুখে ছিল। তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করে ভালো চাকরি পেল। তারা তাদের পরিবারকে ভালোভাবে দেখভাল করতে লাগল। তারা তাদের এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হল।
সুমন একটা ভালো চাকরিতে ঢুকল। সে একটা বড় কোম্পানির ম্যানেজার হল। সুমি একটা ভালো স্কুলে শিক্ষকতা করতে লাগল।
সুমন আর সুমি তাদের বাবা-মাকে আর কষ্ট করতে দিল না। তারা তাদের বাবা-মাকে ভালোভাবে দেখভাল করতে লাগল। তারা তাদের বাবা-মাকে একটি নতুন বাড়ি কিনে দিল। তারা তাদের বাবা-মাকে ভালো খাবার-দাবার খাওয়াতে লাগল।
সুমন আর সুমি তাদের এলাকায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত হল। তারা তাদের এলাকায় অনেক ভালো কাজ করত। তারা দরিদ্রদের সাহায্য করত। তারা অসুস্থদের সাহায্য করত। তারা এলাকার উন্নয়নে কাজ করত।
সুমন আর সুমির গল্প থেকে আমরা শিখতে পারি যে, ঈশ্বর সবসময় ভালো মানুষদের সাথে থাকেন। তিনি তাদের কখনো অভাগা করেন না।
Today News...
◾️Solar and Lunar Eclipses to Grace Earth in October 2023 || কোথায় এবং কখন দেখা যাবে বৃত্তাকার সূর্যগ্রহণ এবং আংশিক চন্দ্রগ্রহণ।"।
◾️ তিস্তার বন্যার ভয়াবহতা: আরও ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার অভিযানে নতুন করে তল্লাশি শুরু।
◾️ADITYA L1: এর লক্ষ্যপথ সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা মিশনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় || আদিত্য-এল১-এর রাস্তা বদল? || পৌরাণিক ও বৈজ্ঞানিক কারণ।
◾️Earthquake Afghanistan: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে || আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা।
গল্পের মোরাল হল:
এই গল্পটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, সম্পদ ও ক্ষমতার উপর অতিরিক্ত নির্ভর করা উচিত নয়। আমাদেরকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং আমাদের সম্পদ ও ক্ষমতা রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়াও, এই গল্পটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দক্ষ ও সৎ নেতৃত্বের মাধ্যমে, আমরা আমাদের সম্পদ ও ক্ষমতা রক্ষা করতে পারি। অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বের কারণে, আমরা আমাদের সম্পদ ও ক্ষমতা হারাতে পারি।
আমরা যদি এই গল্পের মোরালগুলি মনে রাখি, তাহলে আমরা আমাদের জীবনে অনেক ভালো কিছু অর্জন করতে পারি।
Photographer Gopal
Visit Photography Website for more Photo's and you can Book for Photography your Special Date's
মেসোজোয়িক যুগ কি এবং তার সময় কাল || মেসোজোয়িক যুগের শুরু থেকে শেষ:
মেসোজোয়িক যুগ হল পৃথিবীর ইতিহাসের একটি যুগ, যা আজ থেকে ২৫২ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
VUTURE RANI" Story || "ভুতুড়ে রানী" বাংলা ভুতের গল্প!
একসময় এক রাজ্যের এক মহারানী ছিল। তার নাম ছিল রানী সুন্দরী।
ADITYA L1: এর লক্ষ্যপথ সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা মিশনের সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়!
ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য-এল১ গত ৬ই অক্টোবর তার গতিপথ সংশোধন করেছে।