দুর্গাপূজার নতুন স্বাদ: ফিউশন এবং ট্র্যাডিশনাল খাবারের অভিজ্ঞতা || চার দিনের খাবার পরিকল্পনা।

শিরোনাম...

"প্যান্ডেল হপিং-এর ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া: পূজায় বাঙালির মুখরোচক পদ"

"কলকাতার দুর্গাপূজা ও ফ্লেভারের ফেস্টিভ্যাল: চার দিনের খাবার পরিকল্পনা"

দুর্গাপূজায় শুধু প্যান্ডেলই নয়, কলকাতা হয়ে ওঠে খাবারের শহরও। কীভাবে পূজার দিনগুলোতে নতুন স্বাদের খাবারের পাশাপাশি বাঙালির প্রিয় পদগুলি উপভোগ করবেন, তার একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা।

দুর্গাপূজার সময় বাঙালির খাবার মানেই সেরা রান্না এবং সুস্বাদু পদ। এখানে থাকছে চার দিনের একটি ভোজন পরিকল্পনা, যেখানে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও আধুনিক ফিউশন পদ একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে।

দুর্গাপূজায় পূর্ণাঙ্গ খাবার পরিকল্পনা, যেখানে প্রতিদিন সকালে লুচি-আলুর দম থেকে শুরু করে রাতে বিরিয়ানি বা ভাপা ইলিশ পর্যন্ত থাকছে বিভিন্ন পদ। মিষ্টি-মশলাদার সব খাবার আপনার পূজা উৎসবকে আরো আনন্দদায়ক করবে।


মিষ্টি থেকে মাছ' দুর্গাপূজার রসনাবিলাস!

২০২৪ সালের দুর্গাপূজার জন্য খাওয়া-দাওয়ার একটি রুটিন তৈরি করা যায়, যেখানে বাঙালিয়ানা এবং নতুন ধরনের খাবার দুটিই থাকবে। এখানে চার দিনের জন্য একটি পরিকল্পনা দিলাম যা আপনার পূজার আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।



✅ সপ্তমী (Day 1):


সকালের খাবার:


লুচি ও আলুর দম: বাঙালির প্রিয় লুচি আর সঙ্গে মশলাদার আলুর দম।


বনরুটি ও ডিমের ঝাল: শহরের কিছু বিখ্যাত দোকানের বনরুটি এবং ঝাল ঝাল ডিমের কারি।

দুপুরের খাবার:


ভাত, সর্ষে ইলিশ ও শুক্তো: দুর্গাপূজায় ইলিশ মাস্ট! সর্ষে ইলিশের সঙ্গে শুক্তো একেবারে খাঁটি বাঙালিয়ানা খাবার।


আচার ও চাটনি: পাকা আমের আচার এবং টমেটোর চাটনি।

বিকেলের খাবার:


ফুচকা: কলকাতার বিখ্যাত ফুচকা (পানিপুরি)।


মাছের চপ: এই সময়ে ভাজাভুজি না খেলে দুর্গাপূজা অসম্পূর্ণ থেকে যায়!

রাতের খাবার:


কষা মাংস ও রুটি: মাটন কষা আর গরম গরম তন্দুরি রুটি।


মিষ্টি: শেষে রসগোল্লা।


✅ অষ্টমী (Day 2):


সকালের খাবার:


রাধাবল্লভী ও ছোলার ডাল: গরম গরম রাধাবল্লভী আর সঙ্গে ঘন ছোলার ডাল।


সন্দেশ: মিষ্টির মধ্যে থাকুক বিখ্যাত কলকাতার সন্দেশ।

দুপুরের খাবার:


পোলাও ও চিংড়ির মালাইকারি: সুগন্ধি পোলাও আর সঙ্গে নারকেল দুধে রান্না করা চিংড়ির মালাইকারি।


বেগুন ভাজা ও কাসুন্দি: বাঙালি খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে দিতে পারে কাসুন্দিতে ডুবানো বেগুন ভাজা।

বিকেলের খাবার:


মোমো: কলকাতায় এই সময় মোমোর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, তাই বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে মোমো ট্রাই করতে পারেন।


চা ও নিমকি: বাঙালি বাড়ির প্রচলিত বিকেলের নাশতা।

রাতের খাবার:


ধোঁকার ডালনা ও বাসন্তী পোলাও: নিরামিষের মাঝে থাকুক এই বিখ্যাত বাঙালি পদ, ধোঁকার ডালনা। বাসন্তী পোলাও তার সঙ্গে একদম পারফেক্ট।


মিষ্টি: ল্যাংচা।

Follow me for more.


✅ নবমী (Day 3):


সকালের খাবার:


কচুরি ও ছোলার তরকারি: মশলাদার ছোলার তরকারির সঙ্গে কচুরি, কলকাতার বিখ্যাত।


মিষ্টি দই: মিষ্টি কিছু দিয়ে দিনের শুরু।

দুপুরের খাবার:


মাংস ভাত: পাতলা ঝোলের মুরগির মাংস, লেবু আর ভাত, সহজ অথচ স্বাদে অতুলনীয়।


পাঁপড় ও বেগুন পোড়া ভর্তা: সাধারণ হলেও মজাদার এক বাঙালি পদ।

বিকেলের খাবার:


কাটলেট ও সস: মাংস বা মাছের কাটলেট, সাথে টমেটো সস।


ঘুঘনি: কলকাতার আরেকটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড।

রাতের খাবার:


মাটন বিরিয়ানি: কলকাতার বিখ্যাত মাটন বিরিয়ানি। এর সঙ্গে একটু কাচ্চি লেবু ও সালাদ।


মিষ্টি: শেষ পাতে পায়েস।


✅ দশমী (Day 4):


সকালের খাবার:


পুদিনার পরোটা ও ডিমের তরকারি: একটু ভিন্ন স্বাদের জন্য পুদিনার পরোটা এবং ডিমের ঝোল।


নলেন গুড়ের সন্দেশ: দুর্গাপূজার সময় নলেন গুড়ের মিষ্টির জনপ্রিয়তা বাড়ে।

দুপুরের খাবার:


ভাত, পোস্ত ও মাছের ঝোল: পটলের পোস্ত আর সাথে সরল অথচ সুস্বাদু মাছের ঝোল।


টক দই ও পাঁপড়: খাবারের শেষে একদম পারফেক্ট কম্বিনেশন।

বিকেলের খাবার:


পাটিসাপটা: একটু ট্র্যাডিশনাল মিষ্টান্ন, যেটা এই উৎসবের দিনে বিশেষভাবে উপভোগ করা যায়।


চিকেন রোল: কলকাতার বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড।

রাতের খাবার:


ভাপা ইলিশ ও ভাত: পূজার সমাপ্তি ইলিশ দিয়ে হোক। সর্ষে ও নারকেল মিশ্রণে ভাপা ইলিশ আর গরম ভাত।


মিষ্টি: দই বা মিষ্টি সন্দেশ।

🟥 সাধারণ টিপস: 🟥


1. স্ট্রিট ফুড ট্রাই করতে ভুলবেন না – যেমন ফুচকা, ঘুঘনি, আলুকাবলি।

2. দ্রিঙ্কস: ঠান্ডা পানীয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের শরবত যেমন আম পানা বা বেল শরবত রাখতে পারেন।

3. বিভিন্ন ক্যাফেতে নতুন ধরণের খাবার: কলকাতার কিছু আধুনিক ক্যাফেতে অনেক নতুন নতুন ফিউশন বাঙালি খাবার পাওয়া যায়।


এভাবে প্রতিটি দিন ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বাঙালিয়ানা ও নতুন খাবার দিয়ে সাজালে আপনার দুর্গাপূজা হয়ে উঠবে আরও রোমাঞ্চকর!


1 / 4
2 / 10
3 / 10
4 / 10
5 / 10