শিরোনাম...
কোজাগরির লক্ষ্মী পূজা: ধন-সম্পদের দেবীকে পূজার সঠিক পদ্ধতি!
লক্ষ্মী পূজার রীতি: কোজাগরির রাতে সমৃদ্ধি কামনা!
কোজাগরির পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা: শুভ সময় ও নিয়মাবলি!
২০২৪ সালের কোজাগরি পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার সঠিক সময় এবং পূজা করার ধাপ-ধাপে গাইডলাইন। দেবীর আশীর্বাদ লাভের জন্য পূজার প্রস্তুতি কেমন হবে, তা জানুন এখানে।
এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মীকে পূজা করলে ধন, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পূজার সময়, উপকরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ স্তোত্রসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
কোজাগরির লক্ষ্মী পূজা: সময়সূচী এবং পূজা করার পদ্ধতি
কোজাগরির লক্ষ্মী পূজা বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই পূজায় দেবী লক্ষ্মীকে পূজা করা হয়, যিনি ধন, ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির দেবী হিসেবে পরিচিত। কোজাগরি পূর্ণিমা বা শারদ পূর্ণিমার রাতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ‘কোজাগরি’ শব্দটি এসেছে ‘কে জাগে’ থেকে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে নেমে এসে খুঁজে দেখেন, কারা জেগে আছেন তাঁকে পূজা করার জন্য।
কোজাগরির লক্ষ্মী পূজা ২০২৪ সালের সময়সূচী: কোজাগরি পূর্ণিমার নির্দিষ্ট তারিখ প্রতি বছর চন্দ্র কলার ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালে কোজাগরি পূর্ণিমা হবে ১৭ অক্টোবর। পূজা করার সঠিক সময়টি মূলত সন্ধ্যা থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলতে পারে। সন্ধ্যায় চন্দ্রোদয়ের সময় থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সময় পূজার জন্য শুভ বলে ধরা হয়।
লক্ষ্মী পূজা করার পদ্ধতি:
১. প্রস্তুতি:
পূজার জন্য একটি পরিষ্কার ও পবিত্র স্থান নির্বাচন করুন। এটি হতে পারে ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থান অথবা বাড়ির মন্দির।
পূজার থালায় দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা অথবা ছবি স্থাপন করুন।
থালায় ধান, দই, মিষ্টি, ফল, ধূপ, দীপ, এবং ফুল সাজিয়ে রাখুন।
২. মঙ্গলঘট স্থাপন:
মঙ্গলঘট পূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একটি ধোয়া-পরিষ্কার লোটা বা ঘট ব্যবহার করে এর মধ্যে জল, পাঁচ রকম ধান বা চাল, পাঁচটি মুদ্রা, সুপারি ও একটি আম্রপল্লব রেখে দেবীর চরণে অর্পণ করুন।
৩. আচমন এবং সংকল্প:
পূজার শুরুতে নিজের হাত ধুয়ে একটি পাত্রে জল নিয়ে দেবী লক্ষ্মীর সামনে আচ্ছন্ন করে 'ওঁ লক্ষ্মী দেব্যৈ নমঃ' মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজার সংকল্প নিন। এই সংকল্পে দেবীর কাছে আপনার প্রার্থনা জানান যে, তিনি যেন আপনার সংসারে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসেন।
4. দীপ প্রজ্বলন ও ধূপদান:
একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে ধূপকাঠি দিয়ে দেবীর সামনে ধূপ অর্পণ করুন। প্রদীপ ও ধূপের গন্ধ দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করে।
৫. দেবীর প্রার্থনা:
‘শ্রী লক্ষ্মী স্তোত্র’ অথবা ‘লক্ষ্মী চরণামৃত’ মন্ত্র পাঠ করুন। ভক্তিমূলক গান বা ভজন গাওয়া যায়।
৬. ফল ও মিষ্টি নিবেদন:
দেবীকে ফল, দই, মিষ্টি ও অন্যান্য খাবার অর্পণ করুন। বাংলার রীতি অনুযায়ী খেঁজুরের মিষ্টি এবং দই দান করা একটি প্রচলিত রীতি।
৭. আরতি এবং প্রদক্ষিণ:
পূজা শেষে দেবীর আরতি করে প্রদক্ষিণ করুন। আরতির সময় বেলপাতা ও ফুল ব্যবহার করে দেবীকে প্রণাম করুন।
৮. প্রসাদ বিতরণ:
পূজার শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরিবারের সবাইকে প্রসাদ ভাগ করে দিন এবং দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করুন।
My Dairy... ✍🏼️ 📖
◽️ হাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ৩২টি সোনার মুদ্রা
◽️ Lunar Roads: বালি-সিমেন্ট ছাড়াই চাঁদের বুকে স্থায়ী রাস্তা তৈরির পথ দেখাল আন্তর্জাতিক দল।
◽️ কলকাতার দুর্গাপূজা ২০২৩ থিম, বাজেটের খবর ও অন্যান্য তথ্য || বড় প্যান্ডেলগুলির তালিকা।
◽️ থাইল্যান্ডে নব্যপ্রস্তর যুগের নারীর কবরে অসাধারণ সংখ্যক চুড়ি। || চুড়ি দিয়ে আবৃত কঙ্কাল।
◽️ "কৃষ্ণনগরের গরিব পরিবার" বাংলা গল্প।