শিরোনাম...
মহিষাসুর মর্দিনী: মা দুর্গার বিজয়গাথা
দশভুজা দুর্গা: দেবী দুর্গার দশ হাতে শক্তির প্রতীক
দেবী দুর্গার দশ হাতে থাকা প্রতিটি অস্ত্র এক একটি শক্তি এবং সংগ্রামের প্রতীক। তাঁর সিংহের আরোহন সাহসের প্রতীক, যা আমাদের জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য অনুপ্রাণিত করে।
মহালয়ার দিন থেকে শুরু হওয়া দুর্গাপূজার প্রতিটি দিন মহিষাসুর বধের কাহিনীর স্মরণে উদযাপিত হয়। বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দেবী দুর্গার ন্যায়বিচারের বিজয় এবং মহিষাসুরের পতনের ইতিহাস উদযাপিত হয়।
দেবতারা যখন মহিষাসুরকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হন, তখন তাঁদের সম্মিলিত শক্তি থেকে মা দুর্গার সৃষ্টি। তাঁর অসামান্য শক্তি মহিষাসুরকে বধ করে দেবতাদের মুক্তি দেয়।
মহালয়া থেকে বিজয়া দশমী: দুর্গার শক্তি ও ন্যায়বিচারের বিজয়!
প্রাচীন হিন্দু পুরাণের অন্যতম প্রধান দেবী, মা দুর্গা, শক্তি, সাহস, এবং ন্যায়বিচারের এক জীবন্ত প্রতীক। তাঁর কাহিনী শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে না, বরং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতীকী সংগ্রামের প্রতিফলনও। মা দুর্গার পৌরাণিক কাহিনী আজও সমাজে ন্যায় এবং অসুর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হিসেবে প্রচলিত। আসুন, মা দুর্গার পৌরাণিক কাহিনীটি বিশদে জানি।
মহিষাসুর বধ: অসুর শক্তির বিরুদ্ধে দেবীর বিজয়
মা দুর্গার প্রধান পৌরাণিক কাহিনী হল মহিষাসুরের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ। মহিষাসুর এক অসুর রাজা ছিলেন, যিনি ব্রহ্মা থেকে বর পেয়েছিলেন যে, কোনো দেবতা বা পুরুষ তাকে হত্যা করতে পারবে না। এই বর পেয়ে মহিষাসুর অহংকারী হয়ে ওঠেন এবং স্বর্গ আক্রমণ করেন, দেবতাদের পরাজিত করে স্বর্গের অধিকার নেন। দেবতারা যখন তাকে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হন, তখন তাঁরা একত্রিত হয়ে তাদের সম্মিলিত শক্তি দিয়ে দুর্গা দেবীর সৃষ্টি করেন।
মা দুর্গা দশ হাতে অস্ত্র ধারণ করে, সিংহের ওপর আরোহণ করে মহিষাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যান। নয় দিন ধরে তীব্র যুদ্ধের পর, দশম দিনে মা দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন। এই ঘটনা থেকেই আসে নবরাত্রি ও বিজয়া দশমীর উদযাপন।
দুর্গা দেবীর প্রতীকী রূপ
মা দুর্গার চিত্রায়ন আমাদের শক্তি, সাহস, এবং ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক হিসেবে শিক্ষা দেয়। তাঁর দশটি হাত, যা দেবতাদের প্রদত্ত বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত, আমাদের বলে যে আমরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে একাধিক উপায়ে সংগ্রাম করতে পারি। তাঁর সিংহের ওপর আরোহন শক্তির প্রতীক, যা নির্দেশ করে যে ন্যায় এবং সাহসের চেয়ে শক্তিশালী কিছুই নেই।
দুর্গাপূজা: উৎসবের মাধ্যমে দেবীর আরাধনা
বাঙালি সংস্কৃতিতে দুর্গাপূজা এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপিত হয়। মহালয়ার দিন থেকে শুরু হয়ে চার দিনব্যাপী পূজায় মা দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়। পূজার প্রতিটি দিন মহিষাসুরের বিরুদ্ধে মা দুর্গার সংগ্রাম ও বিজয়ের স্মরণে উদযাপন করা হয়। বিজয়া দশমীর দিনে মহিষাসুর বধের আনন্দে দেবীকে বিদায় জানানো হয়, যা ‘দশেরা’ নামে পরিচিত।
সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে মা দুর্গা
মা দুর্গার কাহিনী শুধু পৌরাণিক কাহিনী নয়, এটি আমাদের জীবনের বিভিন্ন সংগ্রামের প্রতীক। যেমন, আমরা যখন অন্যায় বা অনৈতিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়াই, তখন মা দুর্গার মত শক্তি ও সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। বর্তমান সমাজেও মা দুর্গা শক্তি, ধৈর্য এবং ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে সকলকে অনুপ্রাণিত করেন।
My Dairy... ✍🏼️ 📖
◽️ হাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ৩২টি সোনার মুদ্রা
◽️ Lunar Roads: বালি-সিমেন্ট ছাড়াই চাঁদের বুকে স্থায়ী রাস্তা তৈরির পথ দেখাল আন্তর্জাতিক দল।
◽️ কলকাতার দুর্গাপূজা ২০২৩ থিম, বাজেটের খবর ও অন্যান্য তথ্য || বড় প্যান্ডেলগুলির তালিকা।
◽️ থাইল্যান্ডে নব্যপ্রস্তর যুগের নারীর কবরে অসাধারণ সংখ্যক চুড়ি। || চুড়ি দিয়ে আবৃত কঙ্কাল।
◽️ "কৃষ্ণনগরের গরিব পরিবার" বাংলা গল্প।