শিরোনাম...

ভারতের তরুণ শহীদ: ক্ষুদিরাম বসুর জীবনের গল্প!

মুজাফ্ফরপুর বোমা হামলা: ক্ষুদিরাম বসুর সাহসী অভিযান!

ক্ষুদিরাম বসু: এক অমর বিপ্লবীর জীবনগাথা!

ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম, বিপ্লবী কর্মকাণ্ড এবং তার ফাঁসির মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অমর হয়ে ওঠার গল্প।

ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে যে তরুণ নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছিলেন, সেই ক্ষুদিরাম বসুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় নিয়ে একটি প্রবন্ধ।


ক্ষুদিরাম বসু, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের এক উজ্জ্বল নাম, জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার হাবিবপুর গ্রামে। অল্প বয়সেই তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মন্ত্রে দীক্ষিত হন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে শহীদ হন, যা তাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অমর নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।


ক্ষুদিরামের বিপ্লবী কার্যকলাপ:

ক্ষুদিরাম ছিলেন অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের সক্রিয় সদস্য। অল্প বয়সেই তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশদের শোষণ ও অত্যাচার ক্ষুদিরামের মনে প্রবল ক্রোধ জন্ম দেয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামই স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করতে পারে।


প্রফেশনাল গল্প: মুজাফ্ফরপুর বোমা হামলার কাহিনী

১৯০৮ সালের এপ্রিলে ক্ষুদিরাম বসু এবং প্রফুল্ল চাকী একটি মিশনে যান। মুজাফ্ফরপুরে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড, যিনি ভারতীয়দের ওপর চরম অত্যাচার চালিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা একটি বইয়ের প্যাকেটে বোমা লুকিয়ে নিয়ে যান।

৩০ এপ্রিল রাতে, ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল লক্ষ্য করেন এক ঘোড়ার গাড়ি, যাতে কিংসফোর্ডের থাকার কথা। নিশ্চিত হয়ে তারা বোমা নিক্ষেপ করেন। তবে ভুলবশত, সেই গাড়িতে কিংসফোর্ড না থেকে ছিলেন দুই ইংরেজ মহিলা। ঘটনাস্থলে তারা নিহত হন।


ক্ষুদিরাম ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে পরে গ্রেফতার করে। যখন তাকে ধরা হয়, তখন তিনি ছিলেন একেবারে নির্ভীক। তার মুখে হাসি ছিল, যা ব্রিটিশদের স্তম্ভিত করেছিল। আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করেন এবং দেশের জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন।


My Dairy... ✍🏼️ 📖

◽️ হাড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ৩২টি সোনার মুদ্রা

◽️ Lunar Roads: বালি-সিমেন্ট ছাড়াই চাঁদের বুকে স্থায়ী রাস্তা তৈরির পথ দেখাল আন্তর্জাতিক দল।

◽️ কলকাতার দুর্গাপূজা ২০২৩ থিম, বাজেটের খবর ও অন্যান্য তথ্য || বড় প্যান্ডেলগুলির তালিকা।

◽️ থাইল্যান্ডে নব্যপ্রস্তর যুগের নারীর কবরে অসাধারণ সংখ্যক চুড়ি। || চুড়ি দিয়ে আবৃত কঙ্কাল।

◽️ "কৃষ্ণনগরের গরিব পরিবার" বাংলা গল্প।


শহীদের মৃত্যু

১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট মেদিনীপুরের এই তরুণ বিপ্লবীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। মৃত্যুর সময় তার মুখে কোনো ভয় ছিল না, বরং ছিল গর্ব। তার আত্মত্যাগ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার অদম্য সাহস সঞ্চার করেছিল।


উপসংহার

ক্ষুদিরাম বসু শুধু একটি নাম নয়; তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। তার আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, স্বাধীনতার মূল্য কতটা। ক্ষুদিরামের জীবন থেকে আমরা শিখি আত্মত্যাগ, সাহস, এবং দেশের প্রতি অগাধ প্রেম।


🅼🆄🆂🅸🅲