মা ঘর থেকে চলে যাওয়ার পর অর্ণব দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সে জানে, মা তাকে কিছু বলবে না, জোরও করবে না, কিন্তু তার চোখের সেই আকুতি অর্ণবকে কষ্ট দিচ্ছে।
সে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে, দূরে অন্ধকার আকাশের মাঝে এক চাঁদের টুকরো দেখা যাচ্ছে। হালকা বাতাস পর্দা দুলিয়ে দিয়ে যায়, আর সেই নীরবতার মাঝে পুরনো স্মৃতিগুলো যেন ধীরে ধীরে ভেসে ওঠে।
সেই দিনগুলো...
"অর্ণব, তুমি এত গম্ভীর কেন?"
সে ফোনের ওপাশ থেকে হাসির শব্দ শুনতে পায়। কতদিন আগের কথা, মনে নেই। হয়তো তিন বছর আগে।
"আমি গম্ভীর? না তো!"
"আচ্ছা? তাহলে এখন বলো তো, আমার কানে একটা ভালোবাসার কথা শোনাবা না?"
অর্ণব মুচকি হেসে বলেছিল, "ভালোবাসা কি শুধু কথায় বোঝানো যায়?"
ওপাশ থেকে অভিমানী কণ্ঠ ভেসে এলো, "তাহলে আমি কি বুঝব না তুমি আমাকে ভালোবাসো?"
অর্ণব তখনো হাসছিল।
তবে কেন এত দূরত্ব?
সেই ভালোবাসার দিনগুলো হঠাৎ করেই যেন বদলে যেতে থাকে। কথায় কথায় ঝগড়া, একে অপরকে না বোঝার প্রবণতা।
"অর্ণব, তুমি সব সময় এত ব্যস্ত থাকো! আমার জন্য কি একটুও সময় নেই?"